ডেস্কনিউজঃ কুয়েতে ক্লিনিংয়ের পাশাপাশি স্বর্ণ ও কার্পেট ব্যবসাতেও নাম লিখিয়েছিলেন বাংলাদেশের এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল। এসব ব্যবসার আড়ালে অবাধে অবৈধ পারমিট ব্যবসা করেছেন তিনি। ৫০ মিলিয়নেরও বেশি কুয়েতি দিনারের বিনিময়ে প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিককে কুয়েতে নিয়েছেন পাপুল। মানবপাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার বাংলাদেশের এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের লেনদেন ও ব্যবসা সম্পর্কে নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে কুয়েতের সংবাদমাধ্যম আল কাবাস।
সংবাদ উল্লেখ করা হয়েছে, বিদেশি শ্রমিক আনার অন্যতম সহজ পদ্ধতি হলো ক্লিনিং কোম্পানির চুক্তি। সরকারি চুক্তিতে ক্লিনার হিসেবে ওই কোম্পানিগুলোতে ৫শ’ জন কর্মচারীর কাজ করার কথা উল্লেখ থাকলেও বাস্তবে কেবল ১শ’ জন কোম্পানিতে সরাসরি কাজ করেন। বাকিরা সাধারণত নিজের মতো করে কাজ খুঁজে নেন। যখন যে কাজ পান তাই করেন।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব শ্রমিকরা স্বল্প মজুরিতে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাজ করে থাকেন। সম্প্রতি কুয়েতে চাকরি ও উন্নত জীবনযাপনের সম্ভাবনা দেখিয়ে অবৈধ পারমিট ব্যবসা করতে গিয়ে অনেকেই ধরা পড়েছেন।
সাধারণত এক হাজার ৫শ’ কুয়েতি দিনারের বিনিময়ে এই পারমিট বেচাকেনা হয়। ক্লিনিং কোম্পানিগুলোর অবৈধ পারমিট ব্যবসায় জড়িত থাকার নজির থাকলেও বাংলদেশি এমপি পাপুল বিভিন্ন কোম্পানিতে অবৈধভাবে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছেন।
কুয়েতের সংবাদমাধ্যম আল কাবাস এর আগে এমপি পাপুলের চারটি ক্লিনিং কোম্পানির কথা জানিয়েছে। আল কাবাসের হাতে আসা একটি দলিলে দেখা গেছে, পাপুলের একটি কমার্শিয়াল লাইসেন্স আছে যার মাধ্যমে তিনি কুয়েতের যে কোনো ব্যবসা করতে পারেন। ‘জেনারেল ট্রেডিং অ্যান্ড কনট্র্যাক্টিং’ লাইসেন্স নামে পরিচিত ওই বাণিজ্যিক লাইসেন্সের মাধ্যমে তার কুয়েতে প্রায় সব ধরনের শিল্পে ব্যবসা করার অনুমতি আছে।
ওই লাইসেন্সের মাধ্যমে কেবল সরকারি ক্লিনিং কন্ট্যাক্ট না বরং নির্মাণ ও বৈদ্যুতিক খাত থেকে শুরু করে কৃষি এমনকি কার রেন্টাল পর্যন্ত অনেকগুলো সরকারি চুক্তির অনুমতি আছে। এই লাইসেন্সের মাধ্যমেই বাংলদেশি এমপি পাপুল সরকারি চুক্তির আড়ালে কোনো আইনি বাধা ছাড়াই অবৈধভাবে অনেক শ্রমিক আনতে পেরেছেন বলে সূত্রটি জানিয়েছে। মানবপাচার, অর্থপাচার ও ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে গত ৮ই জুন কুয়েতে গ্রেপ্তার হন বাংলাদেশের এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল।